একটি সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে—পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা শহরের তুলনায় বেশি পুষ্টি উপাদানে সচ্ছল। তারা একাধিক কারণেই খাদ্যে বৈচিত্র্যে এগিয়ে রয়েছে : 1. নিজস্ব বাগান: গ্রামে অনেকে ফল-মূল ও শাকসবজির বাগান থেকে সরাসরি খাদ্য সংগ্রহ করেন, যা পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে । 2. বাজার এবং ঋণ সুবিধা: আর্থ-সামাজিকভাবে কিছু গ্রামের পরিবার কৃষি ভিত্তিক ঋণ, বাজার

সংযোগ ও পর্যাপ্ত সঞ্চয়ের সুবিধা পেয়ে থাকে—যা তাঁদের খাদ্যগ্রহণে বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করে । 2. স্বাস্থ্য সচেতনতা: অনেক গ্রামে সাস্থ্য‑ এবং পুষ্টি‑সংশ্লিষ্ট সচেতনতা কম‑বেশি থাকলেও, পারিবারিক খাদ্যচর্চায় প্রাকৃতিক পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শহরগুলোর ক্ষেত্রে যদিও খাদ্যের বৈচিত্র্য বেশি, তবে গ্রামের সরাসরি উৎপাদন ও রাজস্ব-সুবিধা প্রায়শই শহরের বাজার নির্ভর

খাদ্যের চেয়ে অধিক পুষ্টিকর হয়। এ ছাড়াও, গ্রামের খাদ্যাভ্যাসে ফার্ম-টু-টেবিল পদ্ধতি থাকা মানেই কম প্রক্রিয়াজাত ও আরও বেশি ঊপাদানমূলক পুষ্টি পাওয়া যায়। --- 💡 প্রাসঙ্গিক দৃষ্টি এই অনুসন্ধান ইংগিত দেয়—অফ-গ্রিড কৃষিজমিতে পুষ্টি উৎপাদন, ঋণ সুবিধা ও খাদ্যচর্চার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের পুষ্টি চাহিদা শহরের তুলনায় ভালোভাবে পূরণ করছে। ফলে, পুষ্টি উন্নয়নের জন্য এখন

দরকার সামাজিক ও আর্থিক অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তোলা।