-
Monday 18 August 2025
সমাজের গতানুগতিক ধারাকে ভেঙে আজকের ভারতীয় নারীরা বিয়ের ব্যাপারে বলছেন 'আরও অপেক্ষা'। এই নতুন প্রবণতা শুধু শহুরে এলাকায় নয়, গ্রামীণ ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২৫-২৯ বছর বয়সী অবিবাহিত নারীর সংখ্যা ২১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে কাজ করছে একাধিক কারণ - উচ্চশিক্ষার সুযোগ, ক্যারিয়ারের আকাঙ্ক্ষা, আর্থিক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার
চেতনা। নারীরা এখন শুধু গৃহিণী বা মা হওয়ার আগে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পরিবর্তন শুধু ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় নয়, বরং এটি ভারতের সামাজিক কাঠামোর একটি বড় রূপান্তরের ইঙ্গিত। অনেক তরুণী এখন বিয়েকে জীবনের লক্ষ্য না ভেবে জীবনের একটি অংশ হিসেবে দেখছেন। এই প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষণীয় উচ্চশিক্ষিত এবং কর্মরত নারীদের মধ্যে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে
রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জও - সামাজিক চাপ, পরিবারের প্রত্যাশা এবং 'বিয়ের উপযুক্ত বয়স' নিয়ে প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই। মনোবিদরা বলছেন, এই পরিবর্তন আসলে ইতিবাচক, কারণ এটি নারীদের নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। শহুরে কর্মজীবী নারীদের একটি বড় অংশ এখন ৩০-এর পর বিয়ে করাকে আদর্শ মনে করছেন। এই প্রবণতা শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে, তবে
ভারতের মতো রক্ষণশীল সমাজে এটি একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নারীদের এই স্বাধীনচেতা মনোভাব দেশের অর্থনীতিকেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। তবে সমাজের এখনও অনেকাংশই এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি, যার ফলে অনেক শিক্ষিতা নারীকেই সমাজের চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই নতুন যুগের নারীদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো এবং তাদের পছন্দকে স্বীকৃতি দেওয়াই এখন সমাজের
মূল দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Followers