-
Monday 1 September 2025
প্রাচীন ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক পুরোধা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য দ্বারা ৩২২ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত মৌর্য সাম্রাজ্যটি ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় চিহ্নিত করে। পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় ধরে, এই সাম্রাজ্যটি তার দক্ষ প্রশাসন, সামরিক শক্তি, এবং সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য পরিচিত ছিল। সম্রাট অশোকের শাসনকালে, মৌর্য সাম্রাজ্য তার চূড়ান্ত সীমা প্রাপ্ত করে, বৌদ্ধধর্ম প্রচার করে
এবং সামাজিক কল্যাণ এবং ধর্মীয় সহনীয়তার নীতি বাস্তবায়ন করে। মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল তার ভাল সংগঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা। সাম্রাজ্যটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছিল, প্রতিটি প্রদেশকে একটি উপরাজ্যপাল দলিল করে, যিনি কর সংগ্রহ করতেন এবং আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতেন। মৌর্য শাসকরা একটি কেন্দ্রীয় ব্যুরোক্রান্তি উপস্থাপন করেছিল, যেখানে বিভিন্ন বিভাগের জন্য
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিল, যেমন অর্থ, কৃষি, ও বাণিজ্য। এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতে ভারতে প্রশাসনিক অনুশাসনের প্রথার নির্মাণ করে। সম্রাট অশোক, কালিঙ্গ যুদ্ধের পর বৌদ্ধধর্মে পরিণত হওয়ার জন্য বিখ্যাত, শান্তি এবং অহিংসা এর বার্তা প্রসার করতে গেলেন। তার প্রতিশ্রুতি প্রচারিত হয়েছিল সাম্রাজ্যের সার্বিক সুযোগ এবং সামাজিক সমন্বয়, সমস্ত জীবনজন্তুদের কল্যাণ উল্লেখ করে। অশোকের বৌদ্ধধর্মের
আদর্শের প্রভাবে ভারত এবং প্রায়প্রায় অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ভূমিকা প্রভাবিত হয়, যার ফলে শিল্প, স্থাপত্য, এবং দর্শনে শাস্ত্রে স্থায়ী প্রভাব ছেড়েছে। মৌর্য সাম্রাজ্যও বাণিজ্য ও বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। একটি সড়ক এবং জলপথের নেটওয়ার্ক স্থাপনা করা হয়েছিল যা পরিস্থিতির সরবরাহে সহায়ক ছিল।
Followers