শিরোনাম: মৌর্য সাম্রাজ্য: ভারতীয় ইতিহাসের সোনালী যুগ ৩২২ ঈসাবেং চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মৌর্য সাম্রাজ্যটি ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ কালকে চিহ্নিত করে। সম্রাট অশোকের শাসনাধীনতায়, সাম্রাজ্যটি তার উচ্চতা অধিক করে, ভারতীয় উপমহাদ্বীপের বেশিরভাগ অংশ অধিকৃত করে। মৌর্য সাম্রাজ্যটি তার দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক উন্নতি, এবং বৌদ্ধ প্রচারের জন্য প্রসিদ্ধ।

অশোক, যেহেতু মৌর্য সাম্রাজ্যের বৃহত্তম সম্রাট হিসেবে পরিচিত, কঠিন কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে, যা তাকে অহিংসা এবং দয়ার জীবনে পরিবর্তন করে। সাম্রাজ্যের সার্বিক মানবিক মানদণ্ড এবং ধর্মিক সহনীতা প্রচার করতে অশোক স্তম্ভ এবং শিলালেখ উঠিয়েছিলেন। অশোকের স্তম্ভ এবং শিলালেখ তার ধর্ম্ম নীতির সিদ্ধান্তের প্রমাণ হিসেবে অবদান রেখেছে। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা

অত্যন্ত সংগঠিত ছিল, এটির পরিচ্ছেদ প্রদেশ, জেলা, এবং গ্রামে বিভক্ত হয়েছিল। সাম্রাজ্যের প্রতিটি স্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, যাতে দক্ষ প্রশাসন এবং কর সংগ্রহ হত। ধর্ম্ম ধারণা সামাজিক সমন্বয় এবং ন্যায়ের বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলা এবং স্থাপত্য মৌর্য যুগে উন্নত হয়েছিল, যেমন প্রসিদ্ধ সাঁচি স্তূপ এবং আজান্তা এবং এলোরা এলাকার

দৈত্যকৃত গুফা গড়ে উঠেছিল। এই গড়ের উদাহরণ দেখায় বৌদ্ধ কলার ভারসাম্য স্থানীয় শৈলী সহিত, জটিল নকশা এবং মূর্তিসহ প্রদর্শন করে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রকাশযোগ্য ছিল প্রসারিত বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, যা সাম্রাজ্যকে মধ্য এশিয়া সহ অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সংযোগ করত।